এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ বা কেন এসইও শিখবেন?
আপনারা হয়তো জানেন,বর্তমানে এসইও এর
চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারণ আপনি আশেপাশে থাকা যেকোন প্রতিষ্ঠানের দিকে
লক্ষ করলেই দেখবেন তাদের ব্রান্ডের বিজ্ঞাপন প্রচার বা তাদের সার্ভিস,
ই-কমার্স, পন্যের রিভিও ইত্যাদি মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য কোন না কোন
ওয়েবসাইট রয়েছে।
আর এই ওয়েবসাইট গুলোকে সাবার সামনে নিয়ে আসতে এসইওর ভূমিকা অপরিসীম। তাই এসইও এক্সপার্ট এর চাহিদা এখন আকাশচুম্বি।
উদাহরণঃ ধরুন
আপনার একটি রেস্টুরেন্টে রয়েছে, আপনি যাচ্ছেন সবাইকে আপনার রেস্টুরেন্ট
সম্পর্কে জানাতে, অন্যান্য রেস্টুরেন্টের মালিকরাও তাই চাইবে।সেক্ষেত্রে
একটি প্রতিযোগিতার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়,এ প্রতিযোগিতায় অন্যদের থেকে নিজেকে
এগিয়ে রাখতে এসইও হতে পারে অন্যতম উপায়।
এসইও গুরুত্বপূর্ণ হবার কারন গুলো নিচে তুলে ধরা হলোঃ
- এর মাধ্যমে তুলনামূলক কম বিনিয়োগ করে দীর্ঘমেয়াদে প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালানো যাচ্ছে।
- সম্ভাব্য কাস্টমার বা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা সম্ভব হয়।
- বিনা খরচে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি করা যায়।
শুধুমাত্র
অনলাইন ব্যাবসা বা সার্ভিসে এর মধ্যো সীমাবদ্ধ নয়,যেকোন প্রতিষ্ঠান এর
প্রচারণা চালানো যেতে পারে এসইও ( Search Engine Optimization) এর
মাধ্যমে।
এসইও(Search Engine Optimization) কি?
কোন
প্রকার বিজ্ঞাপন ব্যাবহার না করে সার্চ ইঞ্জিনে কোন ওয়েবসাইটের
ফলাফল,এপ্লিকেশন বা কোন কন্টেন্ট এর র্যাংকিং ভালো করার প্রক্রিয়াই এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন।
আমরা সার্চ ইঞ্জিনে যখন সার্চ
করি অধিকাংশ সময় ফলাফলের তালিকায় উপরে থাকা কন্টেন্টগুলোই বেশি দেখা হয়ে
থাকে।তবে এর মধ্যো কিছু কিছু হতে পারে বিজ্ঞাপন আর বাকিগুলো সাধারণ লিংক আর
এই সাধারণ লিংক গুলোকে সবার উপরে আনাই এসইওর কাজ।
আর যে এই এসইওর কাজটি করেন তাকে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজার।
এসইও বলতে অনেকে মনে করেন সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইটের বিজ্ঞান দেওয়া।আসলে ব্যাপারটা এমন না। এসইও বলতে আপনার কন্টেন্ট এর র্যাংকিং এমন ভাবে বাড়ানো যাতে সঠিক ইউজাররা আপনার কন্টেন্ট খুজে পেয়ে আপনার সাইটে চলে আসে।
অন্যদিকে সার্চ ইঞ্জিনে সরাসরি বিজ্ঞানের মাধ্যমে প্রচারণা চালানোর পদ্ধতিকে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং( Search Engine Marketing) বা এসইএম ( SEM) বলা হয়।এই সমস্ত লিংক গুলতে “বিজ্ঞাপন বা Ads” ট্যাগ লাগানো থাকে তবে র্যাংকিং এর সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।
মনে রাখবেন, এসইওর মাধ্যমে রাতারাতি সার্চ
রেজাল্টে আপনার কনটেন্ট কে ফলাফলের উপরে নিয়া আশা সম্ভব নয়,এর জন্য
প্রয়োজন দীর্ঘমেদি পরিকল্পনা ও কৌশল । আপনার র্টাগেটেড অডিয়েন্সকে বা
কাষ্টমারদের প্রয়োজন অনুযায়ী সে পরিকল্পনার পরিবর্তন নিয়ে আসবেন আপনি।
এসইও ( SEO) কিভাবে করতে হয়?
প্রায় সব এসইও এক্সপার্টরাই মূলত নিচের দুইটি পদ্ধতিতে এসইও করে থাকেনঃ
কোন ওয়েবসাইট কে সার্চ
র্যাংকিং এ টপ পজিশনে আনার জন্য এই দুই ধরনের এসইও করা হয়ে থাকে। কারন
দুটি পদ্ধতিতে এসইও করলে চাহিদা অনুযায়ী ভিজিটর নিয়ে আশা সম্ভব হয়,চলুন
বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পেইড এসইও কি?
পেইড
মানে তো বুঝতেই পারছেন এখানে টাকার বিনিময়ে এসইও করা হয়। পেইড এসইও করতে
হলে আপনাকে বিপুল পরিমান টাকা গুন হবে যেটা অনেক ব্যয়বহুল।
তারআগে জেনে নিন পেইড এসইও আসলে কি?
ধরে
নিন আপনি গুগলের মাধ্যমে পেইড এসইও করাতে চাচ্ছেন এখন আপনাকে প্রথমেই
গুগলকে আপনার টার্গেটেড Keyword দিতে হবে।অর্থ্যাৎ আপনি কোন Keyword কে
টার্গেট করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে চান সেটি গুগলকে জানাতে হব।
এরপর গুগল বলে দিবে আপনার Targeted Keyword এর জন্য কত পে করতে হবে।
এখন যখনি আপনি পেমেন্ট Confirm করবেন সাথে সাথে ক্যাম্পেইন Start হয়ে যাবে।
এরপর থেকে যখন গুগলে কেও আপনার সেই Keyword নিয়ে Search করবে গুগল আপনার ওয়েবসাইটিকেই সবার আগে দেখাবে।
এটিই হলো পেইড এসইও।
অর্গানিক এসইও কি?
যখন আপনি টাকা ছাড়াই বিভিন্ন টেকনিক খাটিয়ে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর নিয়ে আসবেন তখন সেটি হবে অর্গানিক ( Organic) এসইও।
এখন আমরা সেই টেকনিক গুলো সম্পর্কে জানবো।
শুধু মাত্র এই ৩টি টেকনিক খাটিয়ে বিনা খরচে ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন।
যেগুলো হলোঃ
১.অন-পেইজ এসইও,
২.অফ-পেইজ এসইও,
৩.ট্যাকনিক্যাল এসইও।
উপরক্ত ৩ টি বিষয় হলো এসইওর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।